রংপুর অঞ্চলে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দুই দিন কৃষি বিভাগের মাঠ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মনজুরুল হান্নান। মাঠ সফরের প্রথমদিন তিনি কাউনিয়া উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি তিস্তার চরে কাউনিয়া উপজেলা কৃষি অফিস ও প্র্যাকটিকেল এ্যাকশন বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে Innovative Sandbar Cropping System শীর্ষক কৃষক সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। চরে মিষ্টি কুমড়া, স্কোয়াস, গম, ভুট্টা, বাদাম, সরিষা, বিভিন্ন ধরণের উচ্চ মূল্যের সবজি চাষ কার্যক্রম দেখে অভিভূত হন। তিনি বলেন চর এখন আর আবহেলিত নয়। চরে সাধারণ জমির মতই বিভিন্ন ফসল ফলানো সম্ভব। তিনি উপস্থিত সকলকে উত্তরাঞ্চলে তিস্তা ব্যারেজ থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত বিস্তীর্ণ চরকে অবহেলিত না রেখে উৎপাদনশীল করা জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানান। বিকেলে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় করেন। এ সময় তিনি আউশ প্রণোদনা সফলভাবে মাঠে বাস্তবায়নের ওপর নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া তিনি আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং গম আবাদ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান।
২৬ তারিখ সকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর জেলার সম্মেলন কক্ষে তিনি বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনকে মৌচাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি মিঠাপুকুর উপজেলায় পায়রাবন্দে প্রযুক্তি গ্রাম, ভার্মি কম্পোষ্ট, রাজস্ব খাতের ভূট্টা প্রদর্শনী, গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিসেস এর আওতায় প্রদর্শনী, ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে পেয়ারা চাষ এবং কৃষক সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া পায়রাবন্দ থেকে তিনি ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে মিঠাপুকুর ময়েনপুর কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি) এর কৃষকদের মাঝে পরিবেশ বান্ধব আমের ফ্রুট ব্যাগ বিতরণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। গত বছর ময়েনপুর এআইসিসি’র উদ্যোগে প্রায় ১১ হাজার আমের ফ্রুট ব্যাগিং করা হয়। এবারও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ৪০ হাজারের অধিক আমে ব্যাগিং কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে এআইসিসি’র সভাপতি শাহিনুল ইসলাম বকুল উল্লেখ করেন। ভিডিও কনফারেন্স আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেন কৃষি তথ্য সার্ভিস রংপুরের আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার মো. আবু সায়েম।
দু’দিনের মাঠ সফরে তাঁর সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহ আলম, রংপুর জেলার উপপরিচালক স ম আশরাফ আলী প্রমুখ।